ads

সিরাত থেকে শিক্ষা

 আল্লাহর রাসূল (সা) যাদের কাছে প্রেরিত হয়েছিলেন তারা প্রায় সবাই আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস করতো। কিন্তু তারপরও তাদেরকে ইসলামের দিকে দাওয়াত দিয়েছেন মানবতার মহানায়ক! আরবের তৎকালীন মানুষের ধর্মবিশ্বাসের কিছুদিক হলো:

- আল্লাহর অস্তিত্ব ও রবুবিয়্যাত স্বীকার করা।
- আল্লাহকে পাওয়ার জন্য নেককার বান্দা, জ্বীন ইত্যাদিকে ভায়া-মাধ্যম হিসেবে উপাসনা করা।
- নেক লোকদের ভাস্কর্য বানিয়ে সম্মান/স্মরণ করা। কয়েক প্রজন্ম পরে সেই ভাস্কর্যকেই দেবতারূপে উপাসনা শুরু করা।
- ইব্রাহীম (আ) এর আদর্শ ভুলে গিয়ে মানবরচিত আদর্শ বেছে নেয়া
- নৈতিকতার নিজস্ব ধরণ বানানো
- যারা ইসলামের দাওয়াত দিত তাদের ঠাট্টা, মশকরা, হয়রানী, অত্যাচার করা। সাধারণ মুসলিমদের উপহাস করা।
- জুলুম, অত্যাচার ও গোত্রবাদ প্রাধান্য দেয়া ইত্যাদি।
এসব গুলো বৈশিষ্ট্য আমাদের সমাজে মুসলিম বলে পরিচয় দেয়া অনেক মানুষের মাঝে প্রবলভাবে বিদ্যমান। তারা
- আল্লাহর অস্তিত্ব, তিনি যে একক, তিনি স্রষ্টা এসব তারা স্বীকার করে
- অনেকে (বিশেষ করে গ্রামের দিকে, শহরেও আছে) আল্লাহকে পাওয়ার জন্য পীর, ওলি বা মাজারকে ভায়া-মাধ্যমরূপে উপাসনা করে, তাদের কাছে দুয়া করে, মানত করে।
- অনেকে আল্লাহর অস্তিত্ব স্বীকার করে কিন্তু ইসলাম বিকৃত হয়ে গেছে ভাবে।
- নেককার লোকের মাজারে দরগা দেয়া, নেতার ভাস্কর্য বানানো সম্মানের জন্য। পরে মাজারের ব্যক্তির কাছ্র দুয়া করতে শুরু করা। নেতার ছবির সামনে আগুন জ্বালানো, ফুল দেয়া।
- অনেকে রাসূলের আদর্শ বাদ দিয়ে মার্ক্স, লিংকন, লক, সাভারকার প্রমুখের আদর্শ গ্রহণ করে
- ভালো-মন্দের ব্যাপারে কুরআনের মানদণ্ড বাদ দিয়ে লিবারেলিজম, হিউম্যানিজম এসব গ্রহণ করে।
- আলেম-উলামাদের মানহানি, ঠাট্টা বিদ্রুপ করে; বলাতকারের মিথ্যা অভিযোগ/মামলা দিয়ে হয়রানী করে। সাধারণ মুসলিমদের উপহাস করে
- জুলুম, অত্যাচার, জাতীয়তাবাদ, দেশবাদ এসব গ্রহণ করে।
অনেক মিল, তাই না?
এরপরও মক্কার লোকেরা কাফের মুশরিক
অথচ আমরা মুসলিম, কেন?

No comments:

ads
Theme images by A330Pilot. Powered by Blogger.