ব্যক্তির ইমান ও আল্লাহর সাথে সম্পর্ক
ব্যক্তির ঈমান ও আল্লাহর সাথে সুসম্পর্ক কতটা গভীর এটা বোঝার উপায় হল সে আল্লাহর সাথে দ্রুত সাক্ষাতে কতটা ব্যাকুল থাকে তা দ্বারা। আমরা সালাফদের দেখি শাহাদাতের মাধ্যমে কিংবা যেভাবেই হোক আল্লাহর কাছে দ্রুত যেতেই তারা উদগ্রীব ছিলেন।
.
পক্ষান্তরে এর বিপরীর অবস্থা যাদের তাদের ঈমানের হালতও তেমনই। সূরা বাক্বারায় আল্লাহ তা'আলা ইহুদীদের এই মানসিকতাটা আলোচনা করেছেন।
.
৯৪ নং আয়াতে আল্লাহ তা'আলা বলেন-
قُلۡ إِن كَانَتۡ لَكُمُ ٱلدَّارُ ٱلۡـَٔاخِرَةُ عِندَ ٱللَّهِ خَالِصَةࣰ مِّن دُونِ ٱلنَّاسِ فَتَمَنَّوُا۟ ٱلۡمَوۡتَ إِن كُنتُمۡ صَـٰدِقِینَ
.
"তাদেরকে বলুন, যদি (তোমাদের ধারণা মোতাবেক) আল্লাহর কাছে আখিরাতের নিবাস অন্য লোকদের ছাড়া কেবল তোমাদের জন্যই খাস হয় তাহলে তোমরা মৃত্যু কামনা করে দেখাও,যদি (এই দাবিতে) তোমরা আসলেই সত্যবাদী হও"
.
আখিরাত তো মু'মিনদের জন্যই৷ আর ইহুদীরা নিজেদেরই কেবল মু'মিন ভাবত। Book of John 4:22 বলছে Salvation is of the Jews.
..
এ হিসেবে তাদের দাবি তো অনর্থক না আসলে। কিন্তু আল্লাহ তা'আলা এই দাবিকে রদ করছেন এভাবে যে আসলেই যদি মু'মিন হয়ে থাক তাহলে মৃত্যু কামনা কর। মু'মিন কি এই পংকিল দুনিয়ায় পরে থাকতে চায় নাকি? সে তো তাড়াতাড়ি মালিকের কাছে গিয়ে জান্নাতের নাজ নিয়ামাত উপভোগ করতে চায়৷ এই দুনিয়া তো তার জন্য একটা কারাগারের মত৷ তাহলে তোমরা দ্রুত মরণ চাও,যেহেতু তোমরা মু'মিন।
.
কিন্তু ইহুদীরা তা চায় নি,চাইবার উপায়ও তাদের ছিল না। আল্লাহ তা'আলা নিজেই বলছেন-
.
وَلَن یَتَمَنَّوۡهُ أَبَدَۢا بِمَا قَدَّمَتۡ أَیۡدِیهِمۡۚ
.
"এদের হাত যা আগেই কামাই করেছে (সেসব যুলুম ও গোনাহের কারণে) এরা কিছুতেই মৃত্যুকে চাইবে না"
.
এটা আসলে একটা মাপকাঠি৷ আজকে আমরাও ঐ অবস্থানে আছি,আমাদের দাবিও এটাই এ কেবল আমরা মুসলিমরাই নাজাত পাব,এবং এই দাবিই শতভাগ সঠিক৷ কিন্তু ইহুদীদের মত আমাদের নিজেদের হালত নিয়েই প্রশ্ন উঠছে আমরা আদৌ কতটুকু ঈমানদার। আমরা কি আল্লাহর সাথে সাক্ষাতে উদগ্রীব? আমরা কি প্রশান্তির সাথে মৃত্যুকে আলিংগন করার সাহস রাখি?
.
নাকি بِمَا قَدَّمَتۡ أَیۡدِیهِمۡۚ আগে করা আমাদের গুনাহগুলোর কারণে ভুলেও মরে যাবার সাহসটুকু রাখি না?
No comments: